ধারা 15: যে আদালতে মামলা দায়ের করতে হবেঃ প্রত্যেকটি মামলা বিচার করার যোগ্যতা সম্পন্ন সর্বনিম্ন আদালতে দায়ের করতে হবে।
ধারা ১৬: যেখানে মামলার বিষয়বস্তু অবস্থিত সেখানে মামলা দায়েরঃ
- যেখানে মামলার বিষয় বস্তু অবস্থিত সেখানে মামলা দায়ের করতে হবে
- এই বিধানটি স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোয্য
- তবে, বন্ধক উদ্ধারের ক্ষেত্রে যেই আদালতের এখতিয়ারে মামলার কারন সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে উদ্ধব হয়েছে ঐ আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে
নোটঃ এখানে সম্পত্তি বলতে বাংলাদেশে অবস্থিত সম্পত্তিকে বুঝানো হবে
ধারা ১৭: বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তির মামলা: যদি স্থাবর সম্পত্তি বিভন্ন আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে যায় তবে, ঐ সম্পত্তির অংশ বিশেষ যে আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে অবস্থিত ঐ আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। অর্থাৎ, ভিন্ন ভিন্ন আদালতের এখতিয়ারের স্থাবর সম্পত্তি থাকলে যে কোনো একটি আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে।
ধারা 18: আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ার অনিশ্চিত হলেঃ যদি আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ার নির্ধারন করা সম্ভব না হয় তাহলে যে কোনো একটি আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে। তবে, এ ক্ষেত্রে আদালতকে এরুপ মামলা গ্রহন করার পর আদালতের এখতিয়ারের অনিশ্চয়তা সম্পর্কে বিবৃতি লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ধারা ১৯ শে বলা হয়েছে যে স্থানে ক্ষতিসাধন হয়েছে বা যেখানে বিবাদী বাস করে বা ব্যবসা করে সেখানে মামলা দায়ের করতে হবে।
উদাহরণ: ক এবং খ ঢাকায় ব্যবসা করে। ক এর বাড়ি খুলনা এবং খ এর বাড়ি চট্টগ্রাম। খ ক কে ঢাকায় মারধর করে। এক্ষেত্রে ক চট্টগ্রাম / ঢাকায় ক্ষতি পূরণের জন্য মামলা দায়ের করতে পারবে।
২০ ধারা অনুসারে যে স্থানে মোকদ্দমার কারন উৎপত্তি লাভ করে বা বিবাদী বসবাস করে সে স্থানে মামলা দায়ের করতে হবে।